অধিক বৃষ্টিপাত ও কম তাপমাত্রায় পুকুর/ঘেরসহ যেকোন জলাশয়ের ফাইটোপ্লাংকটনসহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ কমে যাওয়ার কারণে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বৃষ্টির পানি জলাশয়ে পতিত হওয়া/ নানাবিধ কারণে পিএইচ কমে যাওয়া, বিভিন্ন জৈব পদার্থ পানিতে ধুয়ে জলাশয়ে পতিত হওয়ায় অণুজীবসমূহের লোড বৃদ্ধি পাওয়াসহ পানির ভৌত ও রাসায়নিক তারতম্যের কারণে রোগজীবাণুর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এমতাবস্থায় মৎস্যচাষিদের নিন্মোক্ত পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে:
১) পুকর/ঘের/জলাশয়ে প্রতি শতাংশ প্রতি পনের দিন পর পর ২৫০-৫০০ গ্রাম চুন ও মাসে একবার ২৫০-৫০০ গ্রাম লবণ প্রয়োগ করবেন।
২) চাষকৃত জলাশয়ে এয়ারেটর এর মাধ্যমে বিশেষ করে শেষ রাতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃ্দ্ধি করা ও এয়ারেটর স্থাপনের সুযোগ না থাকলে সংকটকালীন প্রয়োজনে অক্সিজেন ট্যাবলেট/পাউডার ব্যবহার করা।
৩) চাষকৃত জলাশয়ে বৃষ্টির পানি যাতে প্রবেশ না করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪) স্বাভাবিকে চেয়ে মাছের খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া।
৫) অধিক বৃষ্টিপাতে মাছ যাতে বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য জলাশয়ের চারিদিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেয়া কিংবা সম্ভব হলে পুকুর পাড়া উচু করা।
৬) পুকুর/ঘেরে/জলাশয়ে ভিটামিন-সি, মিনারেলস, ইমিউনোস্টিমুলেন্ট জাতীয় উপাদান ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণে মৎস্য খাদ্যের সাথে প্রয়োগ করা।
৭) জলাশয়ের ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণসমূহ নিয়মিত পরীক্ষাপূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮) অ্যামোনিয়াসহ অন্যান্য ক্ষতিকর দূষিত গ্যাস দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৯) প্রয়োজনে জেলা/উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পরামর্শ গ্রহণ করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস